দেশের পুঁজিবাজারে দরপতনের পাশাপাশি লেনদেনেও খরা দেখা দিয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই’র লেনদেন ছিল ৫০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে  লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। যা দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিæ। একই সঙ্গে কমেছে প্রধান মূল্যসূচক। ডলার সংকট, রিজার্ভ কমা, মূল্যস্ফীতি বাড়া ও ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়ার কারণে পুঁজিবাজারে গতি নেই বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাই নীতিনির্ধারকদের নতুন উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরেই লেনদেনে গতি হারিয়ে প্রায় প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসই’র লেনদেন কমতে কমতে তিনশো কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। যা চলতি বছরের ২০ আগস্টের পর ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন। কমেছে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচকও। ১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিনের চেয়ে ৬১ কোটি ৩১ লাখ টাকা কমে লেনদেন হয়েছে ৩৮৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এমন পরিস্থিতির জন্য ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়ার মতো নীতিমালা যেমন দায়ী, তেমনি রয়েছে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার মতো অর্থনৈতিক কারণগুলোও।

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে পুঁজিবাজারে লেনদেনের চিত্রে তেমন পরিবর্তন আসবে না বলে মনে করেন এই বাজার বিশ্লেষক।

ডিএসই’র শেষ কার্যদিবসে ৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ১৬৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহের পুঁজিবাজারের চিত্র

কার্যদিবস                     লেনদেন (টাকা)               সূচক (পয়েন্ট)

রবিবার                       ৫৩১ কোটি ৯৩ লাখ           ৬৪১৫ লাল

সোমবার                      ৪৬৫ কোটি ৯৩ লাখ           ৬২৭২ সবুজ

মঙ্গলবার                      ৪৯৭ কোটি ১৭ লাখ            ৬২৬২ লাল

বুধবার                        ৪৫০ কোটি ৯৮ লাখ           ৬২৬২

বৃহস্পতিবার                  ৩৮৯ কোটি ৬৭ লাখ           ৬২৬১ লাল