পুঁজিবাজারে লেনদেনের ওঠানামায় অনিশ্চয়তা কাটছে না ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে শেষ তিন কার্য দিবসে ৫শ’ কোটি টাকার উপরে লেনদেন হয়েছে। এর আগের দুই সপ্তাহে লেনদেন কমতে কমতে তিনশো কোটি টাকার ঘরে নেমে গিয়েছিলো। এই উঠানামাই ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মূল দুশ্চিন্তা। পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে এ বাজার নিয়ে আর্কষণীয় উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পরামর্শ দিলেন অর্থনীতিবিদরা।

দেশের পুঁজিবাজারে নানা ইস্যুতে অক্টোবরের প্রথম দুই সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনগুলোতে দরপতন ঘটে ও লেনদেন কমতে শুরু করে। তবে গত সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবস টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে। যা পতন থেকে বেরিয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দেয়। শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

অর্থনীতিবিদের মতে, গত সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবস লেনদেন পাঁচশো কোটি টাকা হলেও এটা পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর বার্তা দেয় না। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থা না ফিরলে বাজার কখনো প্রকৃত গতি ফিরে পাবে না।

পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কিছু পরিকল্পনা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিলেন এই অর্থনীতিবিদ।

শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।