২৭ ঘণ্টা পর নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে এই আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে মার্কেটটির ২৪৩টি দোকান। এরইমধ্যে মার্কেটটি দোকান মালিক সমিতির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। নকশার বাইরে অতিরিক্ত দোকান করা, ভবনের ফলস সিলিং ও নির্বাচনি ব্যানারের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, একদিন বন্ধ থাকার পর আবারো বেচাকেনা শুরু করেছেন নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তবে পুড়ে যাওয়া মার্কেটটি খুলতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে দোকান মালিক সমিতি।
বঙ্গবাজারে আগুনের ক্ষত না শুকাতেই শনিবার ভোরে ভয়াবহ আগুন লাগে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে যায় মার্কেটের আড়াইশ’র বেশি দোকান।
আগুন লাগার একদিন পর শনিবার সকাল ৯টার পরে নিউ সুপার মার্কেটটি দোকান মালিক সমিতি ও পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকে তাদের দোকানে যান।
ঈদের আগে এমন অগ্নিকাণ্ডে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের। ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এখন কিভাবে কি করবেন সেই চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে তাদের।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, মার্কেটর তৃতীয় তলায় ২২৮টি দোকান পুরো ধবংসস্তুপ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় তলায় পুড়েছে ১৩টি। আগুনের সূত্রপাত জানাতে না পারলেও, নকশার বাইরে বাড়তি দোকান আগুন নেভাতে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আগুনের রসদ জুগিয়েছে নির্বাচনি পোস্টারও।
দুপুরে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিদর্শনে যান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ। তাই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, একদিন বন্ধ থাকার পর আবারো শুরু হয়েছে নিউ মার্কেটের বেচাবিক্রি। তবে নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যত কিংবা ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো কোনো আশ্বাস মেলেনি।