পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের দাবিতে ডাকা কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। সোমবার থেকে কাজে যোগ দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দাবি পূরণের প্রতিশ্র“তি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে বাহিনীর বেশ কিছু দাবি-দাওয়া উত্থাপন করা হয়। সেসব দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। কর্মস্থলে নিরাপত্তা, সহিংসতায় আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারসহ ১১ দফা দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করছিলেন পুলিশের সদস্যরা।

দাবি বাস্তবায়ন-সংক্রান্তে গঠিত সমন্বয় কমিটির সদস্য পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, ‘পুলিশ সদস্যদের দাবি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়ার পর তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। আজ থেকেই তারা দায়িত্বে যোগ দিতে শুরু করেছেন।’

কর্মস্থলে নিরাপত্তা, দলীয়ভাবে পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার না করা, সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের পরিবার বা আহতদের ক্ষতিপূরণ, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনা, পুলিশ বাহিনীকে যেন কোনো রাজনৈতিক দল তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করা, সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা বৃদ্ধি, কর্মঘণ্টা নিশ্চিত করার মতো দাবি রয়েছে।

সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের সময় পুলিশের একাধিক স্থাপনায় হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনায় ৪২ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর জানিয়েছে।

শেখ হাসিনার সরকার পতনের দিন, সোমবার থেকেই পুলিশ সদস্যদের আর কোথাও দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি। পর দিন থেকে তারা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। এর মধ্যে কিছু থানা আবার চালু হলেও অনেক পুলিশ সদস্য কাজে ফেরেননি। ফলে অনেক থানার পাশাপাশি পুলিশের নিরাপত্তা টহল যেমন শুরু হয়নি, তেমনি ট্রাফিক ব্যবস্থাও পুলিশ বিহীন রয়েছে।

ঢাকার রাস্তায় রোববারও শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা করতে দেখা গেছে।