রাজধানীর আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ থেকে একজন মুমূর্ষু রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। দুপুর ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি নিউমার্কেটের সামনে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা প্রথমে থামায়। পরে জাহাঙ্গীর মুমূর্ষু রোগীর কথা বললে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সটি ছেড়ে দেয় এবং চলে যাওয়ার জন্য রাস্তা ফাঁকা করে দেয়।

এরপর অ্যাম্বুলেন্সটি চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে পৌঁছালে ব্যবসায়ীরা আটকে দেন। এ সময় অতর্কিতভাবে গাড়িটির ওপর হামলা করে এবং ভাঙচুর করে তারা। এ সময় গাড়ির চালক কাগজপত্র দেখিয়ে মুমূর্ষু রোগীর কথা বলে হাজারো অনুনয় বিনয় করলেও অ্যাম্বুলেন্সটিকে ভাঙচুর করা থেকে বিরত থাকেননি ব্যবসায়ীরা। এ সময় ভেতরে থাকা মুমূর্ষু রোগী আঁতকে ওঠে বাঁচার আকুতি করলেও ক্ষান্ত হননি ব্যবসায়ীরা।

চালক জাহাঙ্গীর অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীরা যখন আমার গাড়িটি ভাঙচুর করছিলেন তখন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। কিন্তু মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে কিংবা অ্যাম্বুলেন্সটি রক্ষা করতে এগিয়ে আসেননি পুলিশের কোনো সদস্য।

জাহাঙ্গীর বলেন, আমার অ্যাম্বুলেন্সে ইমারজেন্সি রোগী ছিল। আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি তখন শিক্ষার্থীদের কাছে অনুরোধ করি রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, এই কথা শোনে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সটি ছেড়ে দেয় এবং আমাদের রাস্তা করে দেয় যেন আমরা যেতে পারি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পার হয়ে যখন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নিউমার্কেটের সামনে যাই তখনই ব্যবসায়ী ও তাদের গুণ্ডারা আমার গাড়িতে হামলা করে। তাদের আমি হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করেছি এবং গাড়ির কাগজপত্র দেখিয়েছি, কিন্তু তারা অ্যাম্বুলেন্সটি আটকে দেয় এবং ভেঙে ফেলে। মুমূর্ষু রোগীর কথা বলেও তারা কোনো অনুরোধ রাখেনি। পরে ভাঙা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিই।

তিনি আরও বলেন, আমার গাড়িটিতে যখন হামলা করা হয় তখন হামলাকারীদের পাশে পুলিশ ছিল। কিন্তু তারা একটিবারের জন্যও এগিয়ে আসেনি আমাকে সাহায্য করতে। পুলিশের সামনেই অ্যাম্বুলেন্সটি ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে নিউমার্কেট থানার ওসি স. ম কায়ুমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।