পৌষের শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল। কয়েকদিনের ব্যবধানে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কারণে তাপমাত্রা আবারও ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় এর থেকে আরও কমে আসার আশঙ্কা রয়েছে। এতে করে বাড়তে পাড়ে শীতের মাত্রা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, রবিবার ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ জেলা থেকে হিমালয় পর্বত অনেক কাছাকাছি হওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। ফলে কনকনে শীত অনুভূত হয়।

এদিকে উত্তরের হিমেল হাওয়া গতকালকের চেয়ে আজকে কিছুটা কমেছে, বেড়েছে কিছুটা কুয়াশাও তবে কমেনি শীতের তীব্রতা। দিন ভর সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সাথে আবারও শুরু হয় শীতের তীব্রতা। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষেরা। তবে জীবিকার তাড়নায় নিম্নবিত্ত মানুষদের কর্মজীবনের ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে সকাল থেকেই।

শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধী। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আজকে ফের তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। ১০ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে। এটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রোববার ভোর ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।