চলছে পৌষ মাস। শীতের এ সময়ে চারিদিকে জমে কুয়াশা, প্রকৃতিজুড়ে থাকে শীতের আবহ। এই আবহের মধ্যে পৌষের সকাল ভিজল বৃষ্টিতে। (মঙ্গলবার) সকালটা রাজধানীবাসীর মধ্যে ধরা দিলো ভিন্নভাবে, বৃষ্টিস্নাত হয়ে।

সাত সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, কমলাপুর, মুগদা, বাসাবোসহ বেশ কিছু এলাকায় এই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে দেখা যায়। বৃষ্টির সাথে কিছুটা হালকা বাতাসও ছিল। কিছুটা মেঘের হাঁকডাকও শোনা যায়।এছাড়াও গতাকাল সিলেটেও বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃষ্টির পরিমাণ ০ দশমিক ৮ মিলিমিটার রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এদিন সকাল সোয়া ৬টার পর রাজধানীতে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। তাতে শীত বেশি অনুভূত না হলেও ব্যাঘাত ঘটিয়েছে স্বাভাবিক কর্ম। সকালে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজনকে মাথা গুজতে হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।

বৃষ্টির পরিমাণ যে ভালোই ছিল তার জানান দিয়েছে সড়কের পাশে জমে থাকা পানি। এছাড়া বৃষ্টির পর প্রকৃতিতে কুয়াশার দাপট খানিকটা বেড়ে যায়। সড়কে পথ চলতে কোনো কোনো গাড়িকে হেডলাইট জ্বালাতে হয়। (সোমবার) সিলেটে ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর আরো দুইদিন বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানায় সংস্থাটি।

বৃষ্টির পূর্বাভাস কয়েকদিন আগে থেকেই দিয়ে আসছিল আবহাওয়া অফিস। সোমবার রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা/গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদ-দেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘণ কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।