মুশফিকের লড়াইয়ের পর ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মুশফিক নিজে খেলেছেন ১৭৫ রানের ইনিংস। ৩৫৫ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ২১টি বাউন্ডারি দিয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানটা এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে এখন প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে সফরকারীরা।

এদিন টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো মুশফিকুর রহিমের দেড়শ’র বেশি রান করেছেন। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। এছাড়া, নিজেদের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে নতুন রেকর্ড গড়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাশ।

ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কয়েকটি রেকর্ড গড়েছিলো বাংলাদেশ দল। ৫০ রানের নিচে ৫ উইকেট হারিয়ে ৬ষ্ঠ উইকেটে সবচেয়ে বেশি রান রেকর্ড এখন বাংলাদেশের। প্রথম দিনের রেকর্ডটি দ্বিতীয় দিনে আরো বড় হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে ৫০’র নিচে ৫ উইকেট হারিয়েও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস যা করে দেখিয়েছেন তা লেখা থাকবে ক্রিকেট ইতিহাসে।

সেই সাথে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের নামও স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ৬ষ্ঠ উইকেটে মুশফিক-লিটন যোগ করেছেন ২৭২ রান। যা ৫০’র নিচে ৫ উইকেটে হারানো যে কোন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে টেস্টে এটি বাংলাদেশের জন্য তো অবশ্যই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২৫৩ রান ছিলো ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ। নতুন রেকর্ড গড়ার দিনে মুশফিক পঞ্চমবারের মতো টেস্ট ক্রিকেটে দেড়শত রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৩টি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক মুশফিক।

ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়াও এদিন টেস্টে মুশফিক নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন। এর আগে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ছাড়া মুশফিকের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিলো ১৫৯। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটিও ছাড়িয়ে যান তিনি। দল ৩৬৫ রানে অলআউট হলেও, মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে। আর ৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি খেলেছেন লিটন দাশ। এর আগে ১৩৬ রান ছিলো মাহমুদউল্লাহ’র দখলে। দ্বিতীয় দিন লিটন আউট হন ১৪১ রানে।