সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার এক সেনা নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই প্রথম কোনো সেনা নিহতের খবর জানাল দেশটি। বার্তা সংস্থা এএফপি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ওই সেনার মৃত্যুর পিছনে রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করেছে ইউক্রেন। এদিকে সেনার মৃত্যু ইউক্রেনে রুশ হামলার আশঙ্কাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে এএফপি জানিয়েছে।

এদিকে, রাশিয়ান সীমান্তের কাছে দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল জুড়ে চলমান সহিংসতায় এক সেনা ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হয়েছে বলে পূর্ব ইউক্রেনের যৌথ সামরিক কমান্ড জানিয়েছে। ওই অঞ্চলে শুক্রবার হামলায় ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবার দুই কর্মী আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লুগানস্ক এবং ডোনেটস্কের পূর্বাঞ্চলের মধ্যবর্তী শহরগুলোতে ৮২ থেকে ১২০ মিলিমিটার মর্টার শেল ছুড়েছে।

এ ব্যাপারে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জনবহুল এলাকায় গুলি চালাচ্ছে এবং আবাসিক এলাকার কাছে তাদের আর্টিলারি সিস্টেম স্থাপন করছে।

তবে মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে। এটিকে ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও দাবি করেছে রাশিয়া।

এর আগে শুক্রবারও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনী এবং রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির পূর্বাঞ্চলে গুলিবিনিময় করেছে। এই ঘটনার ‘অজুহাতে’ মস্কো ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কা আরও জোরদার হচ্ছে বলে আল জাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবারও সেখানে গুলিবিনিময়ের অভিযোগ তোলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

কিয়েভ এবং বিদ্রোহীরা ডনবাস অঞ্চলে আট বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। তবে রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডনবাসে গণহত্যা, গণকবর পাওয়া ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ‘মিথ্যা’ অজুহাতের ভিত্তিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।