প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ ও উদ্যোগ নেবে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেন ভোটে পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে সেজন্য তাদের ওপর পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হবে। আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কোনো জেলা প্রশাসকের আচরণ পক্ষপাতমূলক হওয়া কাম্য নয় বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, আমরা শুধু তফসিলের পরে নয়, এর আগেও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে পারি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যদি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিতর্কিত আচরণ করেন, তাদের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিতে পারে। এ সুযোগ ইসির আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা চাই জেলা প্রশাসকরা নিরপেক্ষ আচরণ করুক।

তিনি বলেন, মনে করেন, আপনারা বলছেন, আমরা পারি না। কালকে জেলা প্রশাসকরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলেন। ওরা সবাই ঢাকায় এসে বললেন— এবার আমরা একটা বিশেষ দলকে অবশ্যই অবশ্যই ক্ষমতায় নিয়ে আসব। নির্বাচন আরও ছয় মাস পরে। আমরা কি নিশ্চুপ বসে থাকব? এখানে তাদের তো একটা নির্দেশনা দিতে হবে, না, এভাবে আপনারা আচরণ করতে পারেন না।

‘কারণ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদ, অনেক ক্ষেত্রে তাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নির্বাচনের সময় অতি অনিবার্য প্রয়োজনীয় আইন-শৃঙ্খলনার বিষয়টি তাকেই দেখতে হয়। কাজেই কোনোভাবেই আমরা চাইব না যে, কোনো জেলা প্রশাসকের পক্ষপাতমূলক কোনো আচরণ প্রতিফলিত হোক,’ বলেন তিনি।
ভোট চাওয়ায় ডিসিকে প্রত্যাহারকে আইওয়াশ বলছে বিরোধী পক্ষ—গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটার প্রশ্ন (জবাব) আমি দেব না।’

জামালপুরের জেলা প্রশাসকের ক্ষেত্রে যেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সে রকম আরও উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের কাছে এ রকম কিছু প্রতীয়মান হয় আমরা তখন নিশ্চয়ই এ ধরনের উদ্যোগ নেব।’

প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য যারা ভোট চাচ্ছেন তারা ভোট চাইতে পারেন কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি চট করে দিতে পারব না। কারণ বিষয়টি কেউ নজরে আনেনি। তফসিল ঘোষণার পর কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কিনা আমরা তখন দেখব।