বিশ্বজুড়ে বাঙালির গৌরব করার দিন আজ। ভাষা আন্দোলনের চির অমলিন স্মৃতি বিজড়িত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেবার দাবিতে পাকিস্তানী শাসকদের কারফিউ, গুলি উপেক্ষা করে রাজপথে প্রাণ ও রক্ত দেয় অকুতোভয় বাঙালি।

বিশ্বের বুকে সেই বিরল ইতিহাসের সত্তর বছর পর বাঙালি ভাষা ও সংস্কৃতির গবেষকরা মনে করছেন, বর্তমান সময় তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার শক্তিশালী উপস্থিতি প্রয়োজন। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের বাঙালির মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি বোধ তৈরিও জরুরি।

ভাষার দাবিতে রক্তাক্ত প্রাণদানের গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বে কেবল বাঙালির। বাংলা ও বাঙালির অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত ২১ শে ফেব্রুয়ারি তাই আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় সব বাঙালির হাতের মুঠোয় আজ বিশ্বের সব ভাষা ও সংস্কৃতি। তার ভিড়ে কি এতো রক্ত এবং প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি ক্রমেই হুমকির মুখে? বৈশাখীর কাছে বিশ্লষণ করেছেন প্রাসঙ্গিক দুই গবেষক বাংলা ভাষা, সহিত্য ও সংস্কৃতির গবেষক মফিদুল হক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক কামাল উদ্দিন কবির। এসময় ভাষার বিশৃঙ্খলা বন্ধ করতে একটি ভাষা পরিকল্পনার কথা বলেন তারা।

পাশাপাশি ভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো বাংলা ভাষায় রুপান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন বাংলা ভাষা, সহিত্য ও সংস্কৃতির গবেষক মফিদুল হক। সেই সাথে বিশ্বায়নের যুগে ভিন্ন ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই বলেও জানান এই দুই গবেষক। তবে সেই চর্চা নিজস্ব ভাষা এবং সংস্কৃতিকে অবহেলা করে হওয়া উচিত নয় বলে জানান এই গবেষকরা।