সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আরেক দফা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

সভায় জানানো হয়, ৮ ডিসেম্বর প্রথম পর্বের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার, ৬৯৭ জন।

গত ২৪ নভেম্বর এই তিন বিভাগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। এবার আরেক দফা পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

আজকের সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২৩ মার্চ ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এবারই প্রথম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হবে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দুই বছরের বেশি সময় পর সেই নিয়োগ শেষ হয় গত জানুয়ারিতে। এতে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। তবে তাদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫৭ জন চাকরিতে যোগ দেননি। ফলে এই পদগুলো শূন্য থেকে যায়।