বাংলাদেশে এমন কোন আইন হবে না, যেটা সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশনের পথে বাধাগ্রস্ত হবে। দরকার হলে আইনটি সংশোধন করা হবে বলে জানালেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ মঙ্গলবার (৩১শে মে) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ আয়োজিত সংলাপে এ এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী জানান, ‘এই আইনে অনেক অহেতুক মামলা করা হচ্ছিল। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালে আমি বলেছিলাম। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করার পর তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন’।
তিনি জানান, এ আইনে মামলা হলে সঙ্গে সঙ্গে কাউকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। আমরা সেই ব্যবস্থাও নিয়েছি। এর ফলে এখন যত্রতত্র গ্রেফতার হচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, দরকার হলে এ আইনটি সংশোধন করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এটি সাংবাদিকতায় বাধা সৃষ্টির জন্য করা হয়নি। টেকনোলজির উন্নয়ন হয়েছে। এর মাধ্যমে যে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলোও মোকাবিলা করতে হবে। সেজন্য আইনটি করেছি’।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি একটা জিনিস ব্রডলি বলে দিতে চাই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সংবিধান উপহার দেন, তখন দুটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। একটা হলো বাক স্বাধীনতা, আরেকটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। যেটা আমাদের সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে গ্যারান্টি। সেই জিনিসটাই পাল্টে দেওয়া হবে, তা হয় না। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, দেশে এমন কোনো আইন হবে না, যা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়’।
এসময় মন্ত্রী জানান, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইনে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর বলার উদ্দেশ্য হলো, স্বেচ্ছায় কোনো সংবাদকর্মী চাইলে অবসরে যেতে পারবেন। তবে কোনো মালিক বাধ্য করতে পারবেন না। এ আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে, আরও পরিষ্কার করে তথ্য সংযোজন করা হবে’।
বিএসআরএফ এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক। এ সময় বিএসআরএফ সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল উপস্থিত ছিলেন।