ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ৮ মিনিটে কোরআন তেলাওয়াত, গীতা ও বাইবেল পাঠের মাধ্যমে এ সমাবেশ শুরু হয়। এরপর সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে বক্তব্য শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

এর আগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভাস্থল ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তাদের মিছিল আর স্লোগানে জনসভাস্থল মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জনসভা মাঠে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।

ফরিদপুরের বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের নেতাকর্মীরা মিছিল করে এ সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন রঙের টিশার্ট, টুপি পরে মিছিল নিয়ে এসেছেন তারা।

ব্যানার, পোস্টার, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে তারা মিছিল করেন। নেতাকর্মীরা কাঠ ও কাগজের বিভিন্ন ধরনের নৌকা নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী জনসভা থেকে ফরিদপুরের ৪টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইবেন। এছাড়া আগামীর দিক নির্দেশনা ও উন্নয়নের কথা বলবেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শহরে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। প্রতিটি মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা যায় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের।

এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের জনসভায় ফরিদপুর আসছেন। প্রায় লাখো মানুষের সমাগম হবে এ জনসভায়। ইতোমধ্যে জনসভাকে সফল করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।