বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যু নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে জানতে ডিবি কার্যালয়ের পর র‌্যাব সদর দপ্তরে গিয়েছিল তার সহপাঠি ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। আজ (শুক্রবার) বিকেল পৌনে ৪টায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের ২১ সদস্যেও ওউ দল র‌্যাব সদর দপ্তরে যান। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে টানা তিন ঘণ্টা আলোচনা করেন তারা। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা আলোচনার বিষয় আগামীকাল (শনিবার) বিস্তারিত জানানো কথা বলেন।

এর আগে দেড়মাস তদন্ত শেষে বুধবার ডিবি ও র‌্যাব জানায়, ফারদিন আত্মহত্যা করেছে, তাকে হত্যা করা হয়নি। এমন তথ্যের প্রচারের পর বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডিবি কার্যালয় যান শিক্ষার্থীরা।

তিন ঘন্টা র‌্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটে র‌্যাব সদরদপ্তরে সামনে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পপ্তিবার আমরা ডিবি অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের বেশ কিছু কনফিউশন ছিল। র‌্যাব থেকে আমাদেরকে অফার করেছিল, তার ব্যাখ্যা আমাদেরকে জানাবে। সে জন্য আমরা র‌্যাব সদরদপ্তরে এসেছিলাম। র‌্যাব আমাদেরকে নতুন কিছু ইনফরমেশন জানিয়েছে। আবার আমাদের কিছু ব্যাপারে ব্যাখা চেয়েছিলাম। এসব বিষয়ে আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। পরে আমরা আমাদের বিবৃতি আপনাদেরকে খুব শিগগিরই জানাবো। সে সময়টাও আপনাদেরকে (সাংবাদিকদের) জানাবো। আমরা নিজেরাই আপনাদেরকে ইনভাইট করবো। আমাদের ক্যাম্পাসেই আমরা পরবর্তীতে জানানো হবে।’

ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) কি কি কনফিউশন রয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গতকাল আমরা ডিবি অফিসে কিছু বিষয় জানতে চেয়েছিলাম। যেমন-ব্রীজ থেকে ফেরত আসার বিষয়সহ আরো কয়েকটি বিষয়। সে বিষয়গুলো নিয়ে আজ আরো বিশদ আলোচনা হয়েছে। র‌্যাব আমাদেরকে সেই ইনফরমেশনগুলোই জানিয়েছি। বিষয়গুলো আমরা আমাদের আরো সহপাঠিদের সঙ্গে আলোচনা করবো। আলোচনা করে পরে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানাবো।’

আত্মহত্যার বিষয় নিয়ে আপনাদের কি মনে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সেই বিষয়গুলো খুব শীঘ্রই আপনাদেরকে জানানো হবে। আলোচনার পর যা উঠে আসবে তাই জানানো হবে।’

উলে­খ্য, গত চৌঠা নভেম্বর রামপুরা ব্রীজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েটছাত্র ফারদিন। পরের দিন তার বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের তিন দিন পর গত সাত নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।