ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে পরিকল্পিভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর এখন আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে।’

আজ (বৃহস্পতিবার) মিন্টো রোডে মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের বাবা কাজী নূর উদ্দিন।

তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়ে কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলেরা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে। সব ধরনের পরিস্থিতির সঙ্গে চলতে পারা আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না।

এদিকে ডিবির তদন্তের অগ্রগতি দেখতে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বুয়েটের ৪০ জন শিক্ষার্থী ডিবি কার্যালয়ে আসেন। প্রায় তিন ঘণ্টা তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পর শিক্ষার্থীরা ডিবির তদন্তে সন্তুষ্ট বলে জানান ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ মৃত্যুর আগে ফারদিনের গতিবিধির ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে আত্মহত্যা করে ফারদিনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন।

এরপর ৪ নভেম্বর সকাল আড়াইটার দিকে তিনি সুলতানা কামাল সেতুতে যান। দুপুর ২টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত তিনি একাই ছিলেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘সে সাঁতার জানত না এবং আমরা বিশ্বাস করি যে ফারদিন সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’

ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।

নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ওই দিনই ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন রানা রামপুরা থানায় ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।