ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়া ফেনী জেলায় আবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টানা ৩০ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি যখন উন্নত হওয়া শুরু হয় তখনই শুরু হলো নতুন করে বৃষ্টিপাত। এতে বন্যাকবলিত মানুষ নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে আবারও নতুন করে জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়। বৈশাখী টেলিভিশনের ফেনী জেলা সংবাদদাতা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই নতুন করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়া শুরু করে জেলার অধিকাংশ স্থানে। যা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১১ জেলায় ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ছাড়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফেনী জেলার। শহরের সঙ্গে ছয় উপজেলাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ ও মুঠোফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় জেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষের অবস্থার খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
ফেনী জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম, ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী—এই ছয় উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি নাজুক। সদর ও সোনাগাজী উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ দুর্ভোগে আছেন। এ ছাড়া অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দী। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই।