সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর বিষয়ে আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কবে চালু করা হবে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুধবার বেলা ১১টার পর জানাতে পারব। টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে তাদের। এরই মধ্যে টিকটক আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানিয়েছে যে, তারা উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জবাব দিতে চায়।

তিনি বলেন, তবে ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) কোনো জবাব দেয়নি। যে কারণে আগামীকাল সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় এই তিন প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পর যদি তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পেয়ে তা বিশ্লেষণ করে এবং না-পেলেও আমরা আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।
 
পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু হয়। পরে বাসাবাড়িতেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।
 
আর ১১ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালু করা হলেও মিলছে না স্বাভাবিক গতি। এছাড়া এখনও চালু হয়নি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।