বঙ্গভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মো. আবদুল হামিদ। ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে এটিই তার শেষ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান। এর আগে সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত আদায় করেন রাষ্ট্রপতি।

শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস।

এসময় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে দেশের বিত্তশালী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ইসলামের মহান শিক্ষাকে ধারণ করে মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু নিজেকে বা পরিবারকে নিয়ে নয়, বরং আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধব সকলকে নিয়ে একসঙ্গে ঈদ উদযাপনের মধ্যেই ঈদের প্রকৃত আনন্দ বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।

সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদের প্রধান জামাত। গুনাহ আর বালা মুসিবত থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা প্রার্থনা রেখে মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

ঈদের জামাত শেষে বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।

২০২০ ও ২১ সালে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হয়নি। ২০২২ সালে কিছু বিধিনিষেধ মেনে জাতীয় ইদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এতে অংশ নেননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

গত ঈদুল ফিতরে বঙ্গভবনে ঈদের জামাত আদায় করেছিলেন তিনি। ঈদ জামাতের পর বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে ঈদ শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।

টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পর ২৪ এপ্রিলে বিদায় নিচ্ছেন আবদুল হামিদ। বঙ্গভবনে তাঁর উত্তরসূরি হতে চলেছেন মো. সাহাবুদ্দিন। ওইদিনই নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণ করে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ২৪ এপ্রিল বেলা ১১টায় নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।