লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির পাশাপাশি বইছে ঝড়ো হাওয়া। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় থাকায় প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোর নি¤œাঞ্চল। ঝালোকাঠি ও সাতক্ষীরায় ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ। ডুবে গেছে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলী জমি ও মাছের ঘের। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে অনেকে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ু বিরাজমান থাকায়, গেল কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে উপক‚লীয় জেলাগুলোতে হচ্ছে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত।
লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। গত দু’দিন ধরে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। পায়রাসহ সব বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ডুবে গেছে জেলার ২৭টি গ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্পের শতাধিক ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভেঙ্গে গেছে কাঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদী তীরোবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ। ফলে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
টানা বৃষ্টির কারণে পিরোজপুর শহরের বিভিন্ন স্থান ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ফলে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। জোয়ারের পানির চাপে সাতক্ষীরার আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুরে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ৩শ’ বিঘা মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। পরে নিজ উদ্যোগে বাঁধ মেরামত করেছেন স্থানীয়রা।
বাগেরহাটে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উচ্চতায় জোয়ার হওয়ায় খুলনা, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চলও ডুবে গেছে পানিতে। সেই সাথে এসব জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।