বর্তমান ফেইসে কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। চালু হতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। মঙ্গলবার (২৯শে আগস্ট) কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে খনি কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। পুরাতন ফেইসে কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ করে নতুন ফেইস চালু করা হবে। এজন্য আপাতত উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কয়লার উৎপাদন অনেক কমে গেছে। নতুন ফেইসে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরে আগামী দুই মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, নতুন কোল ফেসের উৎপাদন শুরু হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। খনি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, নতুন কোল ফেস থেকে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পাওয়া যাবে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ কোল ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছিল। এই কোল ফেস থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। এটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার মেট্রিক টন কয়লা প্রয়োজন। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ইয়ার্ডে এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের এই ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হবে।’