ইউরোপের দেশ ফ্রান্সের প্যারিসে বিক্ষোভ করছেন কুর্দি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার প্যারিসে কুর্দিদের একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও রেস্টুরেন্টে অস্ত্রসহ হামলা চালান এক ব্যক্তি। ওই হামলায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনার পর রাস্তায় নেমে আসেন কুর্দি সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়েন। জবাবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনের একপর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে শুক্রবার দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনের একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনার পরই রাস্তায় নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। প্যারিসের কুর্দি সাংস্কৃতিক কেন্দ লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। এ ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হামলার অভিযোগে আটক ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেন চালক। এর আগেও তার বিরুদ্ধে বর্ণবাদ বিরোধী এবং অস্ত্র নিয়ে অভিযোগ ছিল। অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ তাকে আটক করেছিল। মাত্র কয়েকদিন আগে জেল থেকে বের হন তিনি। এরপরই ঘটিয়েছেন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা।