বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনসমর্থন না থাকায় আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের কাছ থেকে তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে হত্যাসহ নানা দাবি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ই সেপ্টেম্বর) স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির নেতাদের নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার নতজানু, বন্ধু রাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। সামনে নির্বাচন সেজন্য আলোচনা করতে গিয়েছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করায় কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে নয় বরং জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে সমর্থন করবে।

নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ছিল বেআইনি। এই কমিশন মানে না বিএনপি। নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি ভাবে না, বিএনপির লক্ষ্য সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যে আমাদের অভিন্ন সমস্যাগুলো আছে, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা এবং অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে, এই সমস্যাগুলোর সমাধান বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত করতে পারেনি। পারেনি কারণ যে, ওদের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই। সেটাই হচ্ছে বড় কারণ। সেজন্য এখন পর্যন্ত সেই শক্তি নিয়ে এই সরকার কোনো কাজ করতে পারেনি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমি গতকালও বলেছি, উনি (শেখ হাসিনা) তো প্রত্যেকবার গেছেন। আমাদেরকে অনেক আশা দিয়ে গেছেন। এই তিস্তা চুক্তি সই হবে, ওমুক হবে, তমুক হবে, এখন পর্যন্ত কোনোটাই হয় নাই।’

‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ১০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিল, সেটারও ৩০ শতাংশ মাত্র কাজ হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। এই বিষয়গুলো নির্ভর করে জনগণের শক্তির ওপরে। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন দিত, তাহলে প্রত্যেকটি কাজই ইতোমধ্যে হয়ে যেত। আমি আবারও বলছি, উনি ফিরে আসুক, কী কী আনছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য, সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।’

এ সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি এসএম জেলানী সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।