পরিবহন ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বরিশাল বিভাগের বাসিন্দারা। সড়কে চলছে না বাস ও থ্রি হুইলারসহ কোন গণপরিবহন। বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচলও। দুইদিনের ধর্মঘটের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে।
শনিবার (৫ই নভেম্বর) বরিশালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে কোনো গণপরিবহন নেই। মাঝেমধ্যে অটোরিক্সা দেখা গেলেও এসব পরিবহনে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে কয়েকগুণ। যাত্রীরা বাধ্য হয়েই এসব পরিবহনে যাতায়াত করছে।
বরিশালসহ এই বিভাগের সব জেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা আটকে পড়েছে।
মহাসড়কে নৈরাজ্য বন্ধে পরিবহন ধর্মঘট চলছে বলে মালিক সমিতির নেতারা জানিয়েছেন। তবে বিএনপির দাবি, আজকের গণসমাবেশ বানচাল করতেই সরকারের নির্দেশে পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
ঝালকাঠিতেও অভ্যন্তরীণ দুই রুটসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর চিত্রও একই। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। ভোগান্তিতে যাত্রীরা। গত কয়েক সপ্তাহের ছুটির দিনের তুলনায় আজ ২০ ভাগ পর্যটকও নেই কুয়াকাটায়। তাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, হাইকোর্টের রায় রয়েছে মহাসড়কে তিন চাকার বাহন চলতে পারবে না। এই তিন চাকার যান মহাসড়ক থেকে প্রশাসন না সরানো পর্যন্ত পরিবহন বন্ধ থাকবে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, বরিশালের গণসমাবেশ বানচালে পরিবহন ধর্মঘট ডাকিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। তবে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।