ববরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে সাবেক এক ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মৃতদের স্বজন অপর এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে বাহেরচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিহতরা হলেন, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনের মা লালমুন নেছা (৯৫) ও তার পুত্রবধূ রিপা আক্তার (২৩)। এছাড়া এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনে স্ত্রী মিনারা বেগম (৫৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত লালমন নেসার নাতি সাইফুল ইসলাম বৈশাখী টেলিভিশনকে জানান,  গতরাত ৯টার দিকে ফোন আসে বাড়িতে চোর ঢুকেছে। খবর পেয়ে আমি ও আমার বাবা বাবুগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেলের দ্রুত যাই। গিয়ে দেখি বাড়ির দরজা বন্ধ। আশেপাশে মানুষদের সাথে নিয়ে জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি,  বউ, শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি তিন জনই বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার, রিপা আক্তার ও লাল লালমন নেসাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখনো রিপার শাশুড়ি  মিনারাবেগম বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন।

বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সাদেকা ইসলাম জানান, ‘রোগীদের হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা যান। অপরজন মিনারা বেগমের বিষক্রিয়ার চিকিৎসা চলছে, তার অবস্থাও আশংকাজনক।

বাবুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আজাদ জানান, মাটির ডোয়ায় একটি গর্ত পাওয়া গেছে, যেখান থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া বাড়ির ভেতর আমরা আর তেমন কিছু পাইনি। তবে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। বাড়ির ডোয়ায় গর্ত করার বিষয়টি পরে করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।