তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর আপিল করেন সিলেট সানরাইজার্সের অলরাউন্ডার রবি বোপারা। যেখানে শাস্তি কমিয়ে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয় তাকে, সঙ্গে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় নামের পাশে। বুধবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন বোপারা। যেখানে একটি ক্রিকেট বল সঙ্গে এনে দেখালেন ভুলটা কোথায় হয়েছে। বোপারা জানালেন, নাকল বল করতে চেয়েছিলেন তিনি।

হাতে বলটা নিয়ে সবাইকে ‘নাকল বল’-এর ‘গ্রিপ’ দেখিয়ে বোপারা বললেন, ‘আমি আসলে নাকল বল করতে চেয়েছিলাম। কখনও এভাবে ধরতে হয়, কখনও বল আড়ালে রাখতে হয়, কখনও আবার এভাবে। কখনও আবার অফ কাটার করতে হবে। এভাবে গ্রিপ করা সহজ নয়, বিশেষ করে ভেজা বলে। ঠিকভাবে ধরতে না পারলে বল উড়ে চলে যেতে পারে, নো বল হতে পারে। তাই বলটা হাতে মানিয়ে নিতে হয়, ঠিকঠাক হলে বল করা যায়। আমার মনে হয় এখানে কোনো একটা ভুল ছিল। হতাশাজনক, তবে এটাই জীবন!’

নাকল বল মূলত, বলের গ্রিপ দুই আঙুলের উল্টো পাশে ধরে বল করতে হয়। এটা অনেকটা ক্যারম বোলিংয়ের মতো।

ঘটনা গত ৭ ফেব্রুয়ারি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেটের ম্যাচে। সে ম্যাচে সিলেট দলের নিয়মিত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নামেন বোপারা। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইংলিশ এই অলরাউন্ডার করে বসেন বল টেম্পারিং। ইনিংসের নবম ওভারে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। বিষয়টি ফিল্ড আম্পায়ারের দৃষ্টিগোচর হয়। তৎক্ষণাৎ সিলেটকে ৫ রান জরিমানা ঘোষণা করেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

সেই ঘটনার কারণে ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় বোপারাকে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। পরে বল বিকৃতি বা বিকৃতির চেষ্টা বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনের ৪১.৩ নবর ধারা ভঙ্গের অভিযোগে ম্যাচ ফি-এর ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা বোপারাকে। সঙ্গে বোপারার নামের পাশে ৩ ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে।

কোডের ৭.৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বোপারা যদি টুর্নামেন্টে ৪ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পান, তাহলে সেটি ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় রূপান্তরিত হবে। ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট ১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার সমান।