জিতলে পরের পর্বে যাওয়ার আশা বেঁচে থাকবে। আর হারলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামছে টাইগার বাহিনী। প্রতিপক্ষ চাপমুক্ত আফগানিস্তান। আজ রোববার পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ৩টায়। তার আগে আজ ওই মাঠে অনুশীলন সেরেছেন সাকিব আল হাসানরা। এরপর টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন।
এ দিকে মাস্ট উইন ম্যাচে অবশ্যই চাপে থাকবে বাংলাদেশ। তবে পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ রাখলে স্বস্তি মিলতে পারে লাল-সবুজের। দল দুটো কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে প্রথম মুখোমুখি হয় ক্যানবেরায় ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে। সেবার ১০৫ রানের দাপুটে জয় তুলে নেয় মাশরাফির দল। যদিও রাশিদ-মুজিববিহীন সেই দলটির সঙ্গে বর্তমান আফগানদের রয়েছে বিস্তর ফারাক।
বছর তিনেক বাদে আবারও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে বাংলা-আফগান লড়াই। মরুর দেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সেবার এশিয়া কাপ। এ যাত্রায় আর রক্ষা পায়নি বাংলাদেশ। রাশিদ খানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ উড়ে যায় ১৩৬ রানে। ব্যাট হাতে ৫৭ রানের মারকাটারি ইনিংসের পর স্পিন ভেলকিতে দুই উইকেট শিকার করেন আফগান ট্রাম্পকার্ড।
গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ বাংলাদেশ নেয় সুপার ফোরে। খুব টাইট ম্যাচ হলেও মাহমুদউল্লাহর নৈপুন্যে স্টিভ রোডসের দল জয় তুলে নেয় ৩ রানে। মাত্র ৮৭ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর রিয়াদ কায়েসের ১২৮ রানের জুটিতে ভর করে শেষ পর্যন্ত স্কোর বোর্ডে ২৪৯ রান তুলতে সমর্থ হয় লাল-সবুজের দল। ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেই ম্যাচে ভালো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ১ উইকেট।
শেষ বারের মতো কোনো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান লড়াই হয় সাউদাম্পটনে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে। এবারও জয়ের উপলক্ষ তৈরি করতে পারেনি রাশিদ খানরা। এক সাকিব আল হাসানেই গুড়িয়ে গিয়েছিলো তারা। ২৬৩ রানের টার্গেট দিয়ে ৬২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। ২৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করে জয়ের মূল নায়ক ছিলেন সাকিব। ব্যাট হাতে খেলেছিলেন ৫১ রানের ইনিংস।