বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার (২৪শে আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়াঙ টেম্বন এ প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করে তিনি জানান, বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে অবিভূত।

নারীর ক্ষমতায়নসহ তাদের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন মারসি টেম্বন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীর উন্নয়ন বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত।

এ প্রসঙ্গে (নারী উন্নয়ন) শেখ হাসিনা বলেন, কাজটি সহজ ছিল না। এজন্য তার সরকারকে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশে নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রের ভীত রচনা করেছিলেন। তার দেখানো পথে বর্তমান সরকার পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সম অধিকার নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, নারীদের অগ্রগতির পথে বাধা দূর হওয়ায় দেশের খেলাধূলা ও কর্মসংস্থানসহ সব ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।

এ সময় বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় মারসি টেম্বনকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব ডায়াবেটিক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর আখতার হোসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অবহিত করেন।

এ সময় তিনি আগামী ডিসেম্বর মাসে পর্তুগালে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ডায়াবেটিক ফেডারেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রীকে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রথম গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর ফর ডায়াবেটিস (এষড়নধষ অসনধংংধফড়ৎ ভড়ৎ উরধনবঃবং) উপাধিতে ভূষিত করা হবে।

সর্বসম্মতিক্রমে এই উপাধিতে ভূষিত করায় বিশ্ব ডায়াবেটিক ফেডারেশনের গভর্নিং বডিকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতির সভাপতি ড. এ কে আজাদ খান উপস্থিত ছিলেন।