ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভূতপূর্ব। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে মুগ্ধ ফ্রান্স। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তার সম্মানে দেয়া নৈশভোজে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।

ম্যাক্রোঁ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে রাত ১০টার দিকে নৈশভোজ শুরু হয়।

এর আগে, দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ম্যাক্রোঁ। রাত ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

এ সময় বিমানবন্দরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল সেখানে ম্যাক্রোঁকে গার্ড অব অনার এবং লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়। এ সময় উভয় দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গার্ড পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেবেন ম্যাক্রোঁ। ওই সময় ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।

দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৯০ সালে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকারের আশা, ম্যাক্রোঁর এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।