নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়, তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে চীন কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সেদেশের রাষ্ট্রদূতইয়াও ওয়েন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে,রাজধানীর একটি হোটেলে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেনচীনের রাষ্ট্রদূত।
ঢাকায় চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ‘বিআরআই’র ১০ বছর: পরবর্তী সোনালি দশকের সূচনা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এসময় তিনি বলেন, সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই বাংলাদেশে নির্বাচন চায়। চীনের প্রত্যাশা, সব অংশীদার মিলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় চীন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোই নেবে।
চীন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না বলে মন্তব্য করেছেন ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশে চীনের বিপুল বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসেবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।
সেমিনারে চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশের (সিইএবি) সভাপতি কে চ্যাংলিয়াং বলেন, বাংলাদেশের অনেক বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চীন। আগামী দিনে চীন আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।
সেমিনারে বক্তৃতা দেন ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস।