প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের শিশুদের সত্যিকারের বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য আমরা আগামী বছর থেকে একটি নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করছি। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সেক্রেটারি জেনারেলের ট্র্যান্সফরমিং এডুকেশন সামিটে দেওয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই আমাদের শিশুরা সত্যিকারের বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠুক। আগামী বছর থেকে আমরা নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করছি। এটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করবে।
তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যক্রম তাদের জলবায়ু সহনশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতন করবেন। এটি তাদেরকে একটি উন্নত, জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতিতে উন্নীত করতে আমাদের ভিশন ২০৪১ এর সত্যিকারের এজেন্টে পরিণত করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার উচ্চ শিক্ষা ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষার জন্য আমাদের লক্ষ্য হলো আরও ভালো শিল্প সংযোগ তৈরি করা।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শিশুদের এমন দক্ষতা থাকা উচিত যা তারা বিশ্বের যেকোনো স্থানে ব্যবহার করতে পারে। যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতির জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। মৌলিক এবং আজীবন শিক্ষার প্রবেশাধিকার উন্নত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বহুভাষিক শিক্ষার প্রসার এবং বাংলাদেশের কিছু জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার পাঠ্য তৈরি করার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্যও শিক্ষার ব্যবস্থার করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমে শিক্ষা দিচ্ছি।
ট্র্যান্সফরমিং এডুকেশন সামিট’ আয়োজনের জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই সম্মেলন ভবিষ্যতে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে শিক্ষার বিষয়ে চিন্তার ভাবনার নতুন পথ তৈরি করবে।
করোনা মহামারীতে জ্ঞান অর্জনে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত ২৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি এবং বৃত্তি পাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।