চীন আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ এবং সাউথ সাউথ কোঅপারেশনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীন বাংলাদেশে যে ‘মূল্যবান’ সহায়তা করেছে, তা স্বীকার করেছেন মোমেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা দরকার এবং আশা প্রকাশ করেন যে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু হবে।

রাষ্ট্রদূত ওয়েন পদ্মা সেতু রেল সংযোগ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, মোংলা বন্দর উন্নীতকরণ এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণসহ বাংলাদেশে চলমান চীন-সমর্থিত উন্নয়ন প্রকল্পে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, চীন আগামী ১১-১৩ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে অংশ নেবে।

মোমেন বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পে চীনের সহায়তার প্রশংসা করেন এবং বিদ্যমান ও পাইপলাইনে থাকা প্রকল্পগুলোর দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের প্রত্যাশা করেন।

তিনি বাংলাদেশ থেকে চীনের বাজারে শুল্ক-মুক্ত কোটা-মুক্ত (ডিএফকিউএফ) বাজার প্রবেশাধিকার ৯৭ শতাংশ থেকে ৯৮ শতাংশে উন্নীত করার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই সুবিধাটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কার্যকর হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতের সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।