দেশে এখন পর্যন্ত কারো শরীরে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। তবে দেশ এই ভাইরাস থেকে ঝুঁকিমুক্ত নয়। তাই গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে করোনার মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ। শনিবার (৩০শে জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ পরামর্শ দেন।
আগাম সতর্ক করে উপাচার্য বলেন, দেশে এখনো মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়নি। তবে সব প্রবেশপথ দিয়ে বহু দেশের নাগরিক আসছেন, যাদের মধ্যে রোগীও আছে। এতে করে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এ জন্য বিমানবন্দরের পাশাপাশি স্থলপথের প্রবেশপথে সতর্কতা বাড়াতে হবে, যাতে সন্দেহভাজন কেউ আসলে দ্রুত আইসোলেশনে নেওয়া সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, প্রতিদিনই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের খবর আসছে। গতকালও স্পেন ও ব্রাজিলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলা মুশকিল। তাই আতঙ্কিত না হয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। করোনা চীন হয়ে ইতালি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। মাঙ্কিপক্স যে একইভাবে আসবে না তা নিশ্চিত নয়। তাই সময় থাকতে সচেতন হতে হবে।
অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটি বসন্তের টিকা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা দেয়। কিন্তু ১৯৮১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে এই টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এখন ভাইরাসটির প্রকোপ বেড়ে গেলে প্রয়োজনে আবারও সেই টিকা প্রয়োগ করা হবে।একই সঙ্গে যাদের বাসায় পোষা প্রাণী আছে, তাদের একটু সচেতন হতে হবে। কারণ এটি প্রাণী থেকে প্রাণী এবং সেখান থেকে মানুষকে সংক্রমিত করে বলে জানান তিনি।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্য ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, কয়েক বছর আগে দেখা গেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের ৭৪ ভাগ রোগী বহুগামিতায় অভ্যস্ত। আর ২৬ ভাগ রোগীর এইচআইভি এইডস শনাক্ত হয়।