মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রায়ই উঠে আসছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেশটি বলছে, বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও যেকোনো হামলার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে তার প্রচারাভিযানে বাংলাদেশের হিন্দুদের লক্ষ্য করে পরিচালিত বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিন। আমার প্রশ্ন হলো— হিন্দুদের লক্ষ্য করে এ ধরনের সহিংসতার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? কারণ, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, হামলা যদি চলতে থাকে— তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন; কিন্তু আমরা দেখছি যে হামলা চলছেই এবং তিনিও স্বপদে বহাল রয়েছেন।”
উত্তরে মিলার বলেন, “এর আগেও এ ব্যাপারে আমরা কথা বলেছি। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। সেসব আলোচনায় আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে আমরা চাই ধর্মীয় ও ধর্মপালনের স্বাধীনতাকে বাংলাদেশে সম্মান হোক। সেই সঙ্গে আমরা আরও চাই— যারা হামলা করছে, তাদেরকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী জবাবদিহিতার আওতায় আনা হোক। (এ ইস্যুতে) বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশ সম্পর্কে আমাদের অবস্থান এটাই।”
প্রসঙ্গত, গত ৩১ অক্টোবর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই স্ট্যাটাসে বাংলাদেশের কড়া সমালোচনা করে করে বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বর হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। যারা উচ্ছৃঙ্খল জনতার দ্বারা হামলা ও লুটের শিকার হচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।”