বাংলাদেশে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমে চলতি অর্থবছর শেষে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, এডিবি। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিশ্ববাজারে অজ্বালানি পণ্যের দাম কিছুটা কমার কারণে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

আজ বুধবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক প্রতিবেদন-২০২৩ এ এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত কয়েক মাস ধরে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

বাহ্যিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে তুলনামূলক ভাবে বাংলাদেশের সরকার ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং।

এডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসছে।

মূল্যস্ফীতি কমে আসার পূর্বাভাসে তিনটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে এডিবির প্রতিবেদনে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি বহির্ভূত পণ্যের দাম কিছুটা কমে আসাকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে প্রত্যাশিত উচ্চতর কৃষি উৎপাদন এবং নতুন কাঠামোর অধীনে কঠোরতর মুদ্রানীতি কারণে মূল্যস্ফীতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে মনে করছে এডিবি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির পারদ বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। গত আগস্টে দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর গত জুলাইয়ে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

একটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং বলেন, বাহ্যিক আর্থিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সরকার তুলনামূলকভাবে ভালো করছে। কেননা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নতি করতে জরুরি সংস্কার করা হচ্ছে।

‘এ সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, অভ্যন্তরীণ সম্পদের সংহতি বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি করা।’

এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রফতানি বহুমুখীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি।

এডিবির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের তুলনায় চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) তা সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।