ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দশম যৌথ কমিশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা সংকটসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার (২০শে মে) ব্রাসেলসে বাংলাদেশ-ইইউ’র এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব ফাতিমা জেসমিন। আর ইইউর পক্ষে এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পাম্পালোনি।

ইইউ কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে উভয়পক্ষ রাজনৈতিক অগ্রগতির পর্যালোচনায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্বসহ গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও সুশাসনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উন্মুক্ততাকে স্বাগত জানিয়ে ইইউ একটি প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজে গণতন্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে।

এছাড়া উভয়পক্ষ সংখ্যালঘুদের অধিকারের অগ্রগতি, নারী ও শিশুদের অধিকার এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে মানবাধিকারের নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মতবিনিময় করে। ইইউ এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় এবং অগ্রাধিকার নিয়েও আলোচনা করে। উভয়পক্ষ চলতি বছরের মধ্যে একটি জলবায়ু সংলাপ করা এবং একটি সম্ভাব্য সবুজ অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইইউ। এজন্য জবাবদিহিতার প্রতি জোর দেয় সংগঠনটি। ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার সংবিধানে বর্ণিত সকলের মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সন্ত্রাস ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ রয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরেছে। ঢাকার পক্ষ ইইউ’র সঙ্গে পাঁচ দশকের দীর্ঘ অংশীদারিত্ব আরো এগিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়।