আগামী ৫ বছর বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উত্তীর্ণ হবে। রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রাধান্য পাবে, সহযোগিতা বাড়বে উন্নয়নের ক্ষেত্রেও।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানান ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

আজ বুধবার(১৭ই জানুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

মন্ত্রীর সঙ্গে বেলজিয়ামের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং সেখানেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তর। তিনি ইউরোপ খুব ভালো জানেন এবং ইউরোপে কীভাবে কাজ করা হয়, সেটি সম্পর্কে অবগত আছেন। আমাদের অনেকগুলো এজেন্ডা রয়েছে, এর মধ্যে পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট করার জন্য আলোচনা শিগগিরই শুরু করতে হবে। এটি একটি বিস্তারিত নতুন জেনারেশন চুক্তি।
এশিয়ায় শুধু একটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ ধরনের চুক্তি আছে।’তিনি আরো বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, যা ইউরোপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতা রয়েছে এবং সামনের বছরগুলোতেও এটি অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

এক প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ‘আমার মনে হয় আগামী পাঁচ বছর আমরা বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সম্পর্কের মধ্যে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন দেখব এবং এর মূল চলনশক্তি হবে নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ২০০১ থেকে বলবৎ আমাদের যে চুক্তিটি রয়েছে, সেটির থেকে পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট অনেক বেশি রাজনৈতিক হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে।’