করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতিসংঘের এসডিজি-৩ সহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও চ্যাথাম হাউস কমিশনের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তার সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ে জাতিসংঘের তৃতীয় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৩)সহ এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো বাস্তবায়নের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তার সরকার ন্যাশনাল হেলথ স্ট্যাটেজিক প্ল্যান ২০১১-২০৩০ বাস্তবায়নে কাজ করছে।
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের অধিকতর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী ফার্মাকিউটিক্যাল শিল্পের আরও উন্নয়নের জন্য তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে হেলেন ক্লার্ককে অবহিত করেন। একইসঙ্গে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই খাত থেকে এখন ১০০ টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশে গবেষণা পরিচালনা, করোনা এবং অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহায়তায় গোপালগঞ্জে একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।
জবাবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিনসহ বিশেষ ওষুধ রপ্তানিকারক হতে পারে।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে (ইউএনজিএ) তার আসন্ন অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিউইয়র্কে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজসহ অন্যান্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন। এ সময় হেলেন ক্লার্ক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সূত্র : বাসস