বাংলাদেশ চীনের কোনও ঋণের ফাঁদে নেই বলে জানিয়েছেন ওই দেশের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বুধবার (১১ মে) বিকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ড. মোমেনের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চীনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বহুপাক্ষিক ফোরামে সহযোগিতা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহযোগিতা এবং চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ চীনের কোনো ঋণের ফাঁদে নেই। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে অন্য দেশের ঋণের ফাঁদ নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ চীনের কোনো ঋণের ফাঁদ নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। ত্রিপক্ষীয় আলোচনা শুরু হয়েছিল, যেটি অনেকদিন স্থগিত ছিল। এখন মিয়ানমার কিছুটা এগিয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি কীভাবে কী করা যায়।

‘প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াটি শুরু করা উচিত। চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

‘চীন থেকে নেয়া ঋণের ফাঁদে পড়বে বাংলাদেশ’ বিশেষজ্ঞদের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা চীন থেকেও বেশি ঋণ জাপান থেকে নিয়েছি, অথচ এটা কেউ বলে না।’

বাংলাদেশ ঋণ নেয়ার বিষয়ে সজাগ জানিয়ে ড. মোমেন ওইদিন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ ঋণ নিতে খুব সজাগ। যাচাই-বাছাই না করে প্রধানমন্ত্রী কোনো ঋণ নেন না। এ ব্যাপারে একেবারে সতর্ক আমরা।

‘আমাদের ঋণের ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা নেই। চীন থেকে পাঁচ থেকে ছয় পারসেন্টের মতো নেই আমরা। ওটা নিয়ে মাথা ঘামায় সবাই।’