আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিছু পণ্যের দাম কমেছে, বাজার নিয়ন্ত্রণের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। অন্যান্য পণ্যের দামও যাতে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসে সে ব্যাপারে সরকারের চেষ্টার সামান্যতম কমতি নেই।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার কিছু পণ্যের দাম বেধে দিয়েছিলো। সেগুলো থেকে কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তাই জনগণকে একটু ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান তিনি। বিএনপি ভাঙ্গার  জন্য আওয়ামী লীগ কোন চেষ্টা করেনি বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তদারকি হচ্ছে। যে কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, এখন কিছু পণ্যের দাম কমেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও যাতে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে আসে সে ব্যাপারে সরকারের চেষ্টার সামান্যতম কমতি নেই। সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অপেক্ষা করুন; আমার মনে হয়, চেষ্টা করলে ফল পাওয়া যাবে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে আমরা ভাঙতে যাব কেন? আমাদের কি সমর্থনের ঘাটতি বা কোনো দুর্বলতা আছে যে বিএনপি থেকে লোক এনে সে ঘাটতি আমাদের পূরণ করতে হবে! আওয়ামী লীগের বহু লোক আছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা, আপনারা দেখেছেন গত নির্বাচনের সময় কী রকম ভিড়। এমনকি নারী সংরক্ষিত আসনেও। আওয়ামী লীগের তো এখানে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।

‘বিএনএম সৃষ্টি; আমি বলেছি, নির্বাচনে আগে শত ফুল ফোটে। এটা আরেক ফুল ফুটেছে। তারা নির্বাচন করবে, নিবন্ধন নিয়েছে,’ বলেন কাদের।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন দিয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার সহযোগিতা বা আওয়ামী লীগের কোনো অনুরোধ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের ওপর কোনো বিধিও আরোপ করেনি যে এটা করতে হবে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে গণতন্ত্রের কোনো চর্চা ছিল না। গণতন্ত্রের কোনো চেহারা আমরা দেখিনি। ২১ বছরে পরে গণতন্ত্র সংগ্রাম-আন্দোলন, আমাদের নেত্রী দেশে ফেরার পর গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার লড়াই করেছেন এবং সে সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।’