গাজীপুরে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গৃহশিক্ষক মো. সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আলোচিত গাজীপুরের সালনায় গৃহশিক্ষক কর্তৃক কলেজছাত্রীকে হত্যা এবং নিহতের মা ও তিন বোনকে জখম করার ঘটনার প্রধান আসামি মো. সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে গাজীপুরের সালনা এলাকায় বাসায় ঢুকে কুপিয়ে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে হত্যা করা হয়। এ সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রাবেয়ার মা ও তিন বোনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তার মাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় সাইদুলের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ। রাবেয়া ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
রাবেয়ার বাবা আবদুর রউফ বলেন, সাইদুল আমাদের প্রাইভেট শিক্ষক ছিল। ছোট দুই মেয়েকে সে পবিত্র কোরআন পড়াত। সে আমার বড় মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে আমরা সরাসরি না করে দেই। এ কারণেই সে বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইদুল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বাসায় ঢুকেই ধারালো অস্ত্র দিয় রাবেয়ার মাথা, গলা, হাত ও পায়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন। তার মা ও দুই বোন ঠেকানোর চেষ্টা করলে সাইদুল তাদেরও আঘাত করে পালিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় রাবেয়াকে স্থানীয়রা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।