প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান পরিবর্তনে জনগণের সম্মতি ছিলো না। অগণতান্ত্রিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছিলো। তবে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে অনেকটাই বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরিয়ে আনা গেছে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। একই অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংবিধানের মূল চরিত্র পাল্টে দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর অপচেষ্টা হয়েছিলো।

সংবিধান প্রণয়নের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে ছিলো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সম্মাননা জানানো হয়।

জাতীয় সংবিধান দিবসের এই আয়োজনে সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানে বারবার আঘাত করা হয়েছে। করা হয়েছে পরিবর্তন। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংবিধানকে অনেকটাই ফেরানো গেছে।

এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, সংবিধান সংশোধনে অগণতান্ত্রিক শক্তির হস্তক্ষেপ জনগন কখনো মেনে নেয়নি। বারবার তার প্রমাণ মিলেছে।

অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সংবিধানে পরিবর্তন এনে দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা হয়েছিলো। দেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতো চাইছিল একটি চক্র।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মো: নুরুজ্জামান, গণপরিষদ এবং খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার এম.আমির-উল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাটর্নী জেনারেল আবু মো: আমিন উদ্দিন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো: আবু জাফর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।