বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে অনেকে নিজেদের জীবন নষ্ট করতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি থেকে বেরিয়ে যারা সুস্থ রাজনীতিতে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

আজ রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসমর্থনের অভাবে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। তারা এখন স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যূত হয়ে রাজনীতিকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে।

বিএনপির অনেকেই নির্বাচন করতে চায়, তাই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়ে সুস্থ ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি ভোটে আসতে চাচ্ছে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অনেকেই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বের হতে চায়। অনেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এর প্রমাণ।

বিএনপি রাজনীতিতে ব্যর্থ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণবিরোধী রাজনীতিকে সমর্থন না দিলে, বিএনপি জনগণকে শত্রু ভাবে। তাদের নৃশংসতার নির্মম শিকার বেলাল হোসেন। নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ ও গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় এই গোষ্ঠী পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে। দেশে এখন সে চেষ্টাই করছে। লন্ডনে বসে দেশের ক্ষতি করার ফরমায়েশ দিচ্ছে। নির্বাচন যেন না হতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করে।

‘এই নেতিবাচক অবস্থা থেকে বিএনপির অনেক নেতা বেরিয়ে এসে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অনেকের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। অনেকেই তাদের নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না। যারা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে সুস্থ ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।’ বলেন কাদের।

সামনে বিএনপির আরও অনেক নেতাকর্মী রাজনীতির সুস্থ ধারায় ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইউএনও-ওসিদের বদলি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার প্রশাসনিক রদবদল করছে না। কর্মকর্তাদের বদলি করছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা দরকার তারা করছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই।

এসময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া আওয়ামী লীগের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।