আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ৩৫০ জনের মধ্যে বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য পদত্যাগে সরকারের কিছু আসে-যায় না।

তিনি বলেছেন, বিএনপি সমাবেশ করছে। শুনলাম তাদের সাতজন এমনি নাকি পদত্যাগ করবেন। পদত্যাগ করার গণতান্ত্রিক অধিকার তাদের আছে। তবে পদত্যাগ স্পিকারের কাছে করতে হয়, মাঠে ভাষণ দিয়ে হয় না। এগুলো বিএনপির রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি। এতে সরকারের কিছু যায় আসে না।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সাভার ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।

হানিফ বলেন, বিএনপি মিথ্যাবাদী, ভাওতাবাজির দল। জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি করে, দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও ভাওতাবাজি করে। তাদের পরিকল্পনা ছিল দলের কর্মীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় এনে নাশকতা করে সরকারকে বিব্রত করে সরকার ফেলে দেবে। এ সরকার খালেদা জিয়ার সরকার নয়। শেখ হাসিনার সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলা যায় না। কারণ আওয়ামী লীগের শেকড় এ বাংলার মাটির অনেক গভীরে। এত গভীরে আছে যে, এই গাছকে বারবার ধাক্কা দিয়েও ফেলা যায়নি। যারা ধাক্কা দিতে এসেছে তাদের কপাল, মাথা ফাটে।

জনপ্রিয়তা যাচাই করার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করুন। দেখুন জনগণ কার সঙ্গে আছে। জনগণ কী চায়? দেশের মানুষ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তি চায়। উন্নয়ন, শান্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

দেশের মানুষ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে চায় না। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা খালেদা জিয়া ও দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সন্ত্রাসী তারেক রহমানকে দেখতে চায় না- বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, আমি কয়েকদিন আগে সমাবেশে বলেছি, বিএনপি নেতারা তাদের কয়েকটা সমাবেশে কিছু লোকজন দেখে জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে। হুঁশ হারিয়ে লাগামছাড়া কথা বলতো। এক শিশু বক্তা আছে রফিকুল ইসলাম মাদানি। এক ওয়াজে গিয়ে মাদরাসার কিছু ছেলেদের দেখে বললো সরকার মানি না, সংবিধান মানি, রাষ্ট্র মানি না। পরে পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেলো তখন পুলিশের হাত-পা ধরে বলে ভুল হয়ে গেছে। সামনে মানুষ দেখে বেহুঁশ হয়ে বলে ফেলেছি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির অবস্থা কিছুটা ওরকম হয়ে ছিল। এমনও বললো ১০ তারিখের পর খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। আমি বলেছিলাম, জোশে বেহুঁশ হলে পুলিশের হাত-পা ধরা লাগবে। এখন তো দেখছেন আপনারা। গত দুদিন ধরে পুলিশের হাত-পা ধরা শুরু হয়েছে।

দেশের মানুষকে বিএনপির মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, বিএনপির মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়ার মহাপরিকল্পনা নিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।