রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আজ (শনিবার) বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই এই প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পোশাকধারী ও সাদা পোশাকেও গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজধানীর সব প্রবেশপথ, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন সড়কে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নগরীর মোড়ে মোড়ে র্যাব-পুলিশের চেকপোস্টও বসাতে দেখা গেছে। এদিকে পুলিশকে সহযোগিতা করতে এপিবিএন ও আনসার বাহিনীকেও মাঠে নামানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক পুলিশ আহত হয়েছেন। আর এতেই আজ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি ডিবি, সোয়াত টিম, বোম ডিসপোজাল টিমও মাঠে কাজ করছে। আজ রাজধানীতে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও কঠোর করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা, নাশকতা রোধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
সে সঙ্গে অনলাইনে দুষ্কৃতকারীদের মিথ্যা তথ্য বা গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা প্রতিহত করতে র্যাবের সার্বক্ষণিক সাইবার নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাবের ১১২টি মোবাইল টিম, ডগ স্কোয়াড, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও র্যাবের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে বলেও জানা গেছে। ফলে র্যাবের হেলিকপ্টার আজ টহল দেবে রাজধানীর আকাশে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, ‘কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, ৩৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। শুধু ৩৩ হাজার নয়, যত লাগবে ততই প্রস্তুত রাখা হবে। আজ ঢাকার নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে।’ ‘পুরো ঢাকা শহর নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে। এতে বিএনপি নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারবে। একই সঙ্গে কোনো সহিংস ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারব।’ বলেও জানান তিনি।
র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির আজকের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আজ র্যাবের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার গোলাম ফারুক জানান, ‘আজ সম্ভাব্য যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় যা লাগবে তাই প্রস্তুত থাকবে। আমরা পুরো ঢাকা শহর নিরাপত্তা বেস্টনিতে রেখেছি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।’