আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করে তাদের পুরনো চেহারায় ফিরেছে। বিএনপির মহাযাত্রা এখন মরণ যাত্রা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন কাদের। তিনি বলেছেন, এখন চলছে সেমিফাইনাল, নির্বাচনে হবে আসল ফাইনাল। পুলিশ হত্যাকারী ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাকারীদের ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর বাইতুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধন করে এসেছেন। আজ যারা সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। পুলিশের গায়ে যারা হাত তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা মুখে শান্তির কথা বললেও তাদের অন্তের বিষ।তারা আসলে সন্ত্রাসী দল। তাদের পুরনো চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরেছে। শেখ হাসিনা মানুষের চিন্তায় আজকে দুপুরেও খেতে পারেননি। এইসব বাড়াবাড়ি, নোংরামি যারা করেছে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবে। প্রধান বিচারপতির বাড়িতে যারা হামলা করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই।
বিএনপির নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, তাদের হরতালের অস্ত্র ভোতা হয়ে গেছে। ভোতা অস্ত্রে কাজ হবে না।
এসময় কাদের জানান, রোববার মহানগর, জেলা, উপজেলাসহ সারা বাংলাদেশে শান্তির সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ রক্তপাতের বিরুদ্ধে। নির্বাচনের আগে ও পরে আওয়ামী লীগ শান্তি চায়। সামনে এই সন্ত্রাসীদের সাথে খেলা হবে। এই সন্ত্রাসী নোংরামিকারীদের চরিত্র যা, তারা আজকে তাই-ই করেছে। এদের আর ক্ষমা করা যায় না। তারা এতো বড় বড় কথা এখন তারা অলিতে-গলিতে পালিয়েছে। কাল থেকে আর কোনো পশ্চিমা কাউকে তারা পাবে না। দুর্বলের সাথে কেউ থাকে না। নেতারাও পালায়, কর্মীরাও পালায়। আওয়ামী লীগ আছে থাকবে। শেখ হাসিনার কর্মীরা পালায় না, তারা আছে, থাকবে
শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, যারা পল্টনে সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করেছে তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা আবার প্রমাণ করেছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।
আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা হামলা করার পরে পুলিশ বসে থাকতে পারে না। তারা নাকি আন্দোলন করবে। যারা এসব হামলা করেছে এই সন্ত্রাসীদের নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি আবারও সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা হরতাল ডেকেছে, পুলিশ হাসপাতালে গাড়ি জ্বালিয়ে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরেছে। বিএনপি যতই চেষ্টা করুক সংবিধানের বাইরে এই দেশে আর কোনো দিন নির্বাচন হতে দেবে না আওয়ামী লীগ।
দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশে নিজেরা মারামারি করে তাদের সমাবেশ শেষ হয়ে গেছে। যারা ১৫ মিনিট আন্দোলন করতে পারে না তারা করবে শেখ হাসিনার পতন! তারা পুলিশকে আক্রমণ করে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে ঢুকতে চেয়েছিলো। কিন্তু পারেনি।
আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণ করবে বলে গতকাল ফখরুল কথা দিয়েছিলো। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। সাপকে বিশ্বাস করা যায় বিএনপিকে না। তাদের ডাকা হরতাল আওয়ামী লীগ মানে না।