নির্বাচন ঠেকাতে সারাদেশে বিএনপি জোটের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৬ই জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে হরতাল শুরু হয়েছে। যা চলবে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। তবে হরতালের প্রথম দিনে সকাল থেকে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। হরতালের কোনো প্রভাব জনজীবনে পড়েনি।
তবে হরতাল শুরুর আগের রাতেই ঢাকায় ট্রেনে আগুনের ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিনের মতোই নিজ গন্তব্যে ছুটে চলেছেন। যদিও নির্বাচন উপলক্ষে রোববার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় তিন দিনের ছুটিতে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই। ফলে ঢাকায় মানুষের চলাচল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম।
এদিকে গাবতলী, সায়দাবাদ ও মহাখালী থেকে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ ও চট্টগ্রাম-সিলটগামী কয়েকটি বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। যাত্রীও স্বাভাবিক ছিল।
বাস কাউন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, একদিকে হরতাল অন্যদিকে নির্বাচন। সবমিলে মানুষের ভেতরে আতঙ্ক আছে। সে কারণেই যাত্রী উপস্থিতি কম। তবে আগের হরতালের তুলনায় এবার মানুষের আনাগোনা বেশি। নির্বাচন উপলক্ষে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য টার্মিনালে এসেছেন। এজন্য বাসও অন্য সময়ের তুলনায় বেশি ছেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে রাজধানীতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। জনগণের যানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই দিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকেও হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।