বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশকে গিলে খাবে বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘বিএনপি এদেশের অর্থনীতি গিলে খেয়েছে। মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানুষের স্বাধীনতা গিলে খেয়েছে। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে দেশকে গিলে খাবে। তাদের হাতে এদেশ নিরাপদ নয়।’
আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণ বিএনপিকে ভোট দেবে না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যত নাচানাচি-লাফালাফি করুক তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তারা কর্মীদের বোঝাচ্ছেন ক্ষমতায় আসি আসি। এত আহ্লাদ! এত সুখ!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব এখন চাঙা হয়ে গেছেন৷ টাকা পাচ্ছে তো। টাকারে টাকা! আরব আমিরাতের দুবাইয়ের টাকা। এই তো এলো টাকা। ফখরুল মহাখুশি। টাকা পাইলেই তার দল খুশি। টাকা ওড়ে আকাশে, বাতাসে; টাকা ওড়ে পাড়ায়-মহল্লায়। আমরা খবর নিচ্ছি। কারা টাকা পাঠায়। খোঁজ পেয়েছি, ব্যবস্থা হবে।
রংপুরে বিএনপির সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রংপুরে বিএনপির একটি সমাবেশ হচ্ছে। সেখানে তিন দিন আগে থেকে লোকজন নিয়ে গিয়ে স্টেজে শুয়ে আছেন, মাঠে শুয়ে আছেন, রাস্তায় শুয়ে আছেন। বিএনপির সম্মেলনে ক’জন লোক হয়েছে তা আমরা দেখেছি। আজকে শুধু ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনে কত লোকজন হয়েছে তা আপনারা দেখে যান। এখানে আমাদের নেত্রী নেই। তারপরও কত লোক হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নাকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। যাবেন, যাবেন। গাধা পানি ঘোলা করে খায়। সময় আসলেই দেখা যাবে বিএনপি নির্বাচনে যায় কি না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার চেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরো এগিয়ে যাবে। গত ৪৭ বছরে দেশের সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সফল কূটনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা। সবচেয়ে সাহসী নেতার নামও শেখ হাসিনা।
ঢাকা জেলার ত্রিবার্ষিকী সম্মেলনের আয়োজন করা হয় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে। দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে ঘিরে উৎসবে পরিণত হয় গোটা বাণিজ্য মেলার মাঠ। বাদ্যযন্ত্র আর ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সকাল থেকেই রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। দুপুর দুটোয় সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় ভরে যায় সম্মেলনের মাঠ।
জাতীয় সংগীতের পর দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্ণিল এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে আওয়ামী বিরোধী শক্তিকে রাজপথে মোকাবেলা করার প্রত্যয় জানান দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ বিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।