প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অতীতের মতো আবারও আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। তিনি বলেন, তাদের এ ধরনের কর্মকান্ড থেকে সতর্ক থাকতে হবে। আজ রোববার (৩০শে জুলাই) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পঞ্চম পর্বে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলে তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  বিএনপি ধর্মের নামে রাজনীতি করলেও ইসলাম প্রচারে কোন কাজ করেনি, বরং ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া বায়তুল মোকাররম মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশের মডেল মসজিদগুলোকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। কারণ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এই মসজিদগুলো পরিচালিত হবে। যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এসব মসজিদের ক্ষতি করতে না পারে।

তিনি বলেন, আমি যখন বায়তুল মোকাররম মসজিদকে উন্নত করার কাজ শুরু করলাম। সেখানে আমাদের মহিলাদের নামাজের সু-ব্যবস্থা, ওযুখানা থেকে শুরু করে গাড়ি পার্কিং করছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই মসজিদের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা যে পর্যন্ত কাজ করেছিলাম, সে পর্যন্তই পড়ে থাকে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা। আল্লাহর রহমতে ৮ বছর পর আমরা যখন আবার সরকারে আসি, তখন বায়তুল মোকাররম মসজিদ আমরা আবারও পুনর্নির্মাণ করে উদ্বোধন করি। কাজেই কোনো সরকার এসে যেন আমাদের এই মসজিদগুলো নষ্ট করতে না পারে। তাই এগুলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে থাকবে। যেন আবারও সরকার পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে মসজিদে কেউ হাত দিতে না পারে।

সরকারপ্রধান বলেন, শুধু বায়তুল মোকাররম না, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সবচেয়ে বড় একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম। খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল, ‘এতোবড় মসজিদে কে যাবে নামাজ পড়তে’। সেটার কাজও তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। এমনকি মিনারগুলোও তৈরি করতে দেয়নি। আমি দ্বিতীয়বার সরকারে এসে সেই মসজিদটি নির্মাণ করি। তারা ইসলাম ধর্মের নামে রাজনীতি করে। কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের কোনো আন্তরিকতা ছিল না। আর তাদের চরিত্র তো আপনারা জানেন। তারা সন্ত্রাসী, অগ্নিসন্ত্রাসী। গতকালও আপনারা দেখেছেন, কতগুলো বাস পুড়িয়েছে। এর আগেও তারা জীবন্ত মানুষগুলোকে পুড়িয়ে মেরেছে। ২০১৪ সালে তারা বাড়ি, স্কুল-কলেজ, বাস-ট্রেন, অফিস কোনো কিছুই বাদ রাখেনি, সব পুড়িয়েছে। গতকাল (শনিবার) আবারও তাদের সেই অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা দেখলাম।