প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। দেশের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যহত করার জন্য বিএনপি জোট আবারো অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। দেশবাসীকে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দেয়া বক্তব্যে এই আহবান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দিয়ে আন্দোলন করিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।

সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক দল। এই দলটি দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। অন্যদিকে সামরিক শাসকদের গড়া দল ক্ষমতায় এসে দুর্নীতি-লুটপাটে ব্যস্ত ছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখন শান্তিতে আছে তখনই বিএনপি-জামায়াত আবারো অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। আমার কাছে এমন খবর আছে যে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তায় নামাবে এবং তারাই তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে ক্ষতি করবে। দরকার হলে লাশ ফেলবে এবং দেশের অবস্থা আরও অস্থিতিশীল করবে। অনেক জায়গায় অনেক কিছু চেষ্টা করে যখন পারেনি, তখনই এই কাণ্ডটা…।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ আজকে শান্তি ও স্বস্তিতে আছে। কিন্তু এটি অনেকের সহ্য হচ্ছে না। ফলে আবারও আগুনে পোড়ানোর খেলা শুরু করেছে। যারা আগুন দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদেরকে বলে পদত্যাগ করতে, আমরা কেন পদত্যাগ করব? আমরা কি তাদের মতো মানুষ পুড়িয়ে মেরেছি? আমরাও তো আন্দোলন করেছিলাম। কই আমরা তো তাদের মতো বাসে আগুন দিইনি, মানুষকে পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটি গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। আজকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। সেই অগ্রযাত্রা যখন শুরু সেটা ব্যহত করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।